Sunday, May 15, 2022

হারানোর ভয় থাকলেই টেনশন মনের ভেতর বাসা বাঁধে !

জীবনটা প্রেমের কোন কবিতা বা গান নয় যে ইচ্ছেমতন আবৃতি বা গেয়ে যাব। যদি গান হতো তবে তো গলা ছেড়ে গাইতাম - আমার সারাটা দিন মেঘলা আকাশ বৃষ্টি তোমাকে দিলাম।

না পাওয়ার যন্ত্রনা একসময়  হয়তো ভুলা যায়। কিন্তু হারানোর ভয় নিয়ে রাস্তা চলা খুবই কঠিন। এটা হোক বন্ধুত্ব, সংসার, প্রেম কিংবা চাকুরী। 

মানুষ যখন একা থাকে তখন আনুপাতিক হারে টেনশন কম থাকে। একা বলতে পরিবারের বাইরের সম্পর্ক কে বুঝানো হয়েছে।

মানুষের জীবনে যখন দায়িত্বের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয় মূলত তখন থেকেই মানুষের আসল অধ্যায় শুরু হয়।

হারানোর ভয় নিয়ে রাস্তা চলে দেখুন রাস্তাকে কত কঠিন মনে হয়।

  • যদি কখনো প্রেম করেন তাহলে দেখবেন বিয়ের আগ মূহুর্তৃ পর্যন্ত টেনশন আপনাকে তাড়িয়ে বেড়াবে। এই টেনশনের কারনে আপনার রুটিন মাফিক কাজ বাধাগ্রস্থ হবে। এ হিসাবে বিয়ের আগে প্রেম না করাই ভাল।
  • যদি আপনার আয়ই হয় একমাত্র উপার্জন তবে দেখবেন চাকুরী হারানোর ভয় কিভাবে আপনাকে পেয়ে বসে।

পকেটে টাকা থাকলে যেমন ইচ্ছেমতন খরচ করার সাহস থাকে ঠিক তেমনই নিজের ভেতর যদি সত্যিকারের মেধা থাকে তবে দেখবেন আলাদা এক ধরনের আত্মবিশ্বাস মনের ভেতর কাজ করে। এজন্য হারানোর ভয় মনের ভেতর ঠাঁই না দিয়ে নিজের ভেতর জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করাই অধিকতর শ্রেয়।

ফারুক আহমেদ।


 


Thursday, May 12, 2022

জীবন থেকে শিক্ষা

 একটি বাস্তব ঘটনা গল্প আকারে তুলে ধরছি। গল্পের নামগুলো ছদ্মনাম। 


আব্দুর রহিম কোন একটি থানার ইউনিয়ন বাজারে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা করে ব্যবসায়ী হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। ব্যবসায় মোটামোটি সাফল্য পাওয়ার পরেই পরিবারের মতে আব্দুর রহিম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।


বিয়ের পরে আব্দুর রহিমের সংসার আল্লাহর রহমতে ভালই চলতে ছিল। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যে বাচ্চা না হওয়াই নতুন করে টেনশন যোগ হয়। আর এরই মধ্যে বাচ্চার জন্য ডাক্তার ও কবিরাজের কাছে দৌড় লেগেই আছে। যাক অবশেষে আল্লাহর অশেষ রহমতে আব্দুর রহিম একজন ছেলে সন্তানের বাবা হন। বাবা হওয়ার খুশিতে এলাকাবাসী ও সমস্ত আত্মীয়স্বজনকে দাওয়াত করে আকিকার মাধ্যমে ছেলের নামকরণ সম্পন্ন করেন। 


তারপর ক্রমান্বয়ে তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা হন। বড় ছেলে একটু বড় হতেই ধীরে ধীরে বাবার ব্যবসায় বাবাকে সাহায্য করতে থাকেন। এভাবেই ক্রমান্বয়ে তাদের ব্যবসা এগোতে থাকে। আর ধীরে ধীরে আব্দুর রহিম হয়ে উঠে ঐ এলাকার সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী। আবার এরই মাঝে ছোট ছেলের পুলিশ ডিপার্টমেন্টের চাকুরীও হয়ে যায়।


বড় ছেলেও হঠাৎ করেই বাবার অমতে বিয়ে করে । আর এই বিয়ের মধ্য দিয়েই পরিবারের ভাঙ্গন শুরু হয়। আর এদিকে বড় ছেলে শুশুর বাড়ির কুপরামর্শে বাবার সমস্ত ব্যবসা কে হাতিয়ে নেওয়ার খেলায় মেতে উঠে।


শেষ পর্যন্ত বাজার ব্যবসায়ীর চাপে দোকান ফেরত দিলেও রাতের আঁধারে দোকানের সমস্ত মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নেয়।


এই ঘটনায় আব্দুর রহিম ধীরে ধীরে মানসিক ভাবে ভেঙে পরেন। আর এদিকে দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও বউ এক গ্রুপ হয়ে আব্দুর রহিম কে সম্পূর্ণ একা করে দেয়।


দুই তিন বছর কষ্ট করে আব্দুর রহিম পুনরায় ব্যবসায় মনযোগ দিয়ে বর্তমানে মোটামোটি একটি ভাল অবস্থান তৈরি করেছেন। আর এদিকে ছেলের ঋণ ধীরে ধীরে বেড়েই চলছে। 


বর্তমানে আব্দুর রহিমের একটাই স্বপ্ন পরিবারের পতন দেখা। 


ফারুক আহমেদ।

Sunday, April 10, 2022

বিশ্বাস

 প্রেম হলো এক বিশ্বাস এর নাম। বিশ্বাস ভেঙে গেলেই বিনা বাতাসেও প্রেম উড়ে যায়।


জমি ক্রয় করতে গেলে দলিল করতে হয়। বিয়ে করতে গেলেও অনেক নিয়ম কানুন পালন করেই করতে হয়। কিন্তু একমাত্র প্রেমের বেলাতেই কোন প্রকার দলিল বা স্বাক্ষীর কোন প্রয়োজন হয় না, বিশ্বাসই যথেষ্ট।


বিশ্বাস যে শুধুমাত্র প্রেমের বেলাতেই রাখতে হয় এমনটা নয়। কথায়ই তো আছে বিশ্বাস এ মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।


প্রেম করেন, সংসার করেন, চাকুরী করেন আর বন্ধুত্বই রক্ষা করেন সব জায়গাতেই বিশ্বাস অপরিহার্য। 


তবে মেধা বলেও তো একটা কথা আছে। আপনি যাই করবেন মেধা কাঁটিয়েই করবেন। অন্ধের মত বিশ্বাস করা যাবে না।


সোনা যেমন কষ্টি পাথর দিয়ে ঘষে যাচাই করতে হয় তেমনই বিশ্বাস করার আগে নিজের বিবেক বুদ্ধি কে কাজে লাগাতে হবে।


মনে রাখতে হবে ভুল মানুষ কে বিশ্বাস করা আর জীবন সংগ্রামে পিছিয়ে যাওয়া একই কথা।


ফারুক আহমেদ।

Tuesday, March 29, 2022

মেয়ের মাঝে মাকে আজও খুঁজি

 মা বেঁচে থাকলে মনে হয় এমনই হতো!!


প্রত্যেকে সন্তানেরই মায়ের কোলে মাথা রেখে বড় হতে ইচ্ছে করে আমিও তার ব্যতিক্রম ছিলাম না। কিন্তু ভাগ্য আমাকে ব্যতিক্রম এর কাতারে ফেলে দিয়েছে সেই ছোট বেলাতেই। 


আমি পরিবারের বড় ছেলে আমার পরে আরও পাঁচ জন তার মধ্যে সবার ছোট ভাইয়ের বয়স ছিল মাত্র ছয় মাসের। এক কথায় কেউ কাউকে দেখার বয়স তখন পর্যন্ত কারোরই হয় নাই। 


কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আমাকে মেনে নিতে হয়েছিল সেই ছোট বেলাতেই। বয়স তখন এ আর এমন কি হবে? সবে মাত্র সপ্তম শ্রেণিতে উঠেছি। হঠাৎই একদিন আমরা তিন ভাই, তিন বোনকে রেখে আমার মা সবাই কে কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।


এর মধ্যে মা যে মারা গেছেন ছোট তিন ভাই বোনের কিন্তু বুঝারই জ্ঞান হয়নি।


মা মারা যাওয়ার পর আমার ১০৫ ডিগ্রি জ্বর হয়েছিল। পাঁচ দিন প্রায় অচেতন ছিলাম। শুধুমাত্র এইটুকুই মনে আছে আমার কাছের যারা ছিল তারা আমাকে বলেছিল বাবারে কষ্ট করে পাঁচ টা দিন পাড় কর তারপর আল্লাহই রহমত দিবে। তার উপর আবার তুমি ছয় জনের মধ্যে সবার বড়। তোমাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে তোমার ছোট ভাই বোনের দিকে তাকিয়ে । আল্লাহ তোমাকে ধৈর্য ধারণের সাহস যোগাবে।


ওনাদের কথা কিন্তু সেদিন সত্যি হয়েছিল। আল্লাহ আমাকে পৃথিবী সমান ধৈর্য দান করেছেন। 


আমরা সবাই ছোট ছিলাম বলে আমার নানু নিজ হাতে আব্বাকে বিয়ে করালেন। বর্তমান মায়ের এক মেয়ে আছে।


আমার সৎ মা অসম্ভব ভাল ছিলেন এটা বুঝানোর জন্য একটি কথাই কিন্তু যথেষ্ট। আর তা হলো একজন কুমারী মেয়ে হিসেবে সেই দিন আমাদের তিন ভাই ও তিন বোন কে নিজের সন্তানের মতো বুকে টেনে নিয়েছিলেন আর কিন্তু ছাড়েন নি।


যার ফলশ্রুতিতে আমরা ভাই বোন সবাই আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভাল আছি।


সব কিছুর পরেও এক ধরনের চাপা কষ্ট কিন্তু থেকেই যায়।


আল্লাহর রহমতে আজ আমার চাপা কষ্ট আমার মেয়েকে পেয়ে কখন যে ভুলে গেছি টেরই পাইনি।


আমি আমার মেয়ের মাঝে আমার হারিয়ে যাওয়া মাকে খুঁজে পেয়েছি। সত্যিই মা বেঁচে থাকলে মনে হয় এমনই হতো।


ফারুক আহমেদ 

ময়মনসিংহ।

নারী

 নারী তুমি ছ্যাকা দিলেই ছলনাময়ী আবার মা হলেই মমতাময়ী!


নারী তুমি জন্ম নিলেই মেয়ে, বিয়ে হলেই বউ আবার সন্তান হলেই মা। সব জায়গায় যদি নিজের বিবেক বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে ভাল মন্দের হিসেব করে চলতে পারো তবেই তুমি আদর্শ নারী।


নারী তুমি বউ হয়ে ভালোবাসলে পৃথিবীর সব সুখ পাওয়া যায়। আবার তুমি দুঃখ দিলে সাগরের পানিও যেন কম পড়ে যায়।


নারী তুমি চাইলে হাসাতে পারো আবার কাঁদাতেও জুড়ি মেলা ভার!


নারী কারো কাছে মহান, কারো কাছে ছলনাময়ী, কারো কাছে মমতাময়ী আবার কারো কাছে রহস্যময়ী।


কেউ কেউ বলে 

নারী নাকি যেখানে যেমন রঙ ধরে তেমন!


আমার কাছে মনে হয় নারী মেয়ে হয়ে মায়ের অভাব দূর করে, বউ হয়ে সুখ দুঃখের সাথী হয়ে পাশে থাকে আবার মা হয়ে মমতার চাদরে ঢেকে রাখে।


ফারুক আহমেদ 

ময়মনসিংহ।

Monday, March 28, 2022

 যে কোন সম্পর্কের মাঝে মান অভিমান হতেই পারে। এখন কথা হলো এই মান অভিমানের পর্ব কে কিভাবে সমাধান করবো? কতটা সময় নেব?

এটা যার যার একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। তবে এই বিষয়টিকে আমি একটু ভিন্ন ভাবে চিন্তা করি। আমার কাছে মনে হয় জীবনটাই ক্ষণিকের, তাই তো যথাসম্ভব দ্রুততার সহিত মান অভিমান এর পর্ব শেষ করা উচিত। মান অভিমান এর কারণে যতটুকু সময় নষ্ট করবেন ততটুকুই হারাবেন।
ছোট ছোট অভিমান ভালোবাসা বাড়ালেও অভিমান দীর্ঘস্থায়ী হলে সম্পর্কের মধ্যে ভাঙ্গন ধরতে পারে। আমার কাছে মনে হয় ভালোবাসা হলো অনেক টা শ্বাস প্রশ্বাসের মতো, ঠিকমত চললেই সুস্থ থাকা যায়।
ফারুক আহমেদ।


Tuesday, March 22, 2022

পরিবার


সাগর পাড়ে আসলে কিছু সময়ের জন্য হলেও একদম চিন্তা মুক্ত জীবন উপভোগ করা যায়। ভুলেই যাই আমারও দায়িত্ব আছে!
কিন্তু কথায়ই তো আছে বাস্তবতা বড়ই নির্মম। পর মুহূর্তেই চোখের সামনে ভেসে উঠে পরিবারের প্রত্যেকটি মুখ। মনে করিয়ে দেয় পরিবারের সবাই পাশে থাকলে কতই না মধুর লাগতো।
আসল কথা হলো আকাশের যাই, পাতালেই যাই আর সাগর সহ যেখানেই নাই কেন পরিবার থেকে দূরে থাকার কোন উপায় নেই। পরিবার হলো চির দিনের ভালোবাসার জায়গা। যেখানে ভালোবাসলে ভালোবাসা আরও বেড়ে যায় সেটাই হলো পরিবার।
পরিবার হলো গ্রামীণ ফোনের বিজ্ঞাপনের মতো যতই দূরে থাকি তবুও যেন কাছে।
একজন আদর্শ মানুষের ভিত্তিও এই পরিবারেই গড়ে উঠে। পরিবার হলো এমন এক জায়গা, এখানে যাই চাষ করবেন তাতেই সোনা ফলবে।
অভাব, অনটন, সুখ,দুঃখ, হাসি খুশি সব কিছুই পরিবারের সবাই সানন্দে শেয়ার করে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে এটা যেন যার যার নিজস্ব দায়িত্ব।
সব চেয়ে বড় কথা হলো পরিবার নিয়ে ব্যাখ্যা করে শেষ করা যাবে না। কারণ পরিবার হলো সব কিছুর উর্ধ্বে।
আমি শুধু এই টুকুই বলতে চাই আমি এমন এক হাসি খুশি পরিবারের সদস্য হয়ে আমৃত্য পাশে থাকতে চাই ইনশাল্লাহ।
ফারুক আহমেদ।



হারানোর ভয় থাকলেই টেনশন মনের ভেতর বাসা বাঁধে ! জীবনটা প্রেমের কোন কবিতা বা গান নয় যে ইচ্ছেমতন আবৃতি বা গেয়ে যাব। যদ...